মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব জ্বালানি তেলের বাজারে নতুন চমক দেখিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি রফতানিকারক দেশ হিসেবে সৌদির এই পদক্ষেপে জ্বালানির বাজারে আবার একধরনের অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিপাকে পড়তে পারেন।
গত বছর থেকে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সৌদি আরব ও ওপেকের বিভিন্ন দেশ সদস্য ব্যাপকভাবে তেলের উৎপাদন কমিয়েছে। কথা ছিল, চলতি বছর তারা অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।
কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) বলেছে, বিশ্বজুড়ে চলতি বছর তেলের চাহিদা কমবে। এর পেছেনে অন্যতম কারণ হচ্ছে- বিশ্ব অর্থনীতির গতি কমে যাওয়া। এছাড়াও চলতি দশকের মধ্যভাগে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠবে। সে কারণেও জ্বালানি তেলের চাহিদা আর তেমন একটা বাড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরব এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে এবং তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা বলেছেন, সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে যে সমস্যা আছে, সেটা তারা বুঝতে শুরু করেছে।
তারা আরও বলেছেন, এখন তাদের কৌশল নিয়ে বড় ধরনের চিন্তাভাবনা করতে হবে। এর ফলে আরামকোর পুঁজি ব্যয়ে এর বড় প্রভাব পড়বে, সেই সঙ্গে উপসাগরের সরবরাহব্যবস্থা এবং ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর তেলনীতিতেও তার প্রভাব অনুভূত হবে।
এই পরিস্থিতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্যে বিপদজনক হতে পারে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।
সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
এটি বাইডেনের জন্যে একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!