BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
হরিলুটের প্রকল্প বানিয়াচংয়ের গড়ের খাল। নিয়মনীতি না মেনেই তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করলো কর্তৃপক্ষ। এ কাজ দেখিয়ে ইতিমধ্যে বিল উত্তোলন করা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকার উপরে। এদিকে এ কাজটি সঠিকভাবে না করে বিল উত্তোলন করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বানিয়াচং সদরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের মধ্যে। তাদের দাবী অনেক জায়গায় মাটি উত্তোলন না করেই সেখানে মাটি উত্তোলন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে গড়ের খালের অনেক জায়গাতেই মাটি কাটা হয়নি বলে তারা জানান। সম্রাট আকবরের আমলে স্বাধীন রাজ্য বানিয়াচংয়ের প্রতিরক্ষার জন্য স্বাধীন রাজা আনোয়ার খাঁ বানিয়াচংয়ের চতুর্দিকে পরিখা খনন করেন। যা গড়ের খাল নামে পরিচিত।ঐতিহাসিক গড়ের খাল অপরিকল্পিত ভাবে খনন করায় সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকার পুরোটাই ভেস্তে গেছে। গাইড ওয়াল ও সীমানা নির্ধারণ না করেই এই খালটি পূন:খনন করায় পুনরায় আগের চেহেরায় ফিরে গেছে। হরিলুটের প্রকল্প গড়ের খালে অপরিকল্পিত ভাবে কাজ করতে গিয়ে স্হানীয় ভাবে এবং সরকারি অর্থে নির্মিত ছোট বড় প্রায় ২৫টি কালভার্ট ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। টাকার অংকে এর ক্ষতির পরিমান দাড়াঁবে কোটি টাকার উপরে। এই কালভার্ট গুলো ভেঙে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষক।তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে কি ভাবে বাড়ী ফিরবেন এ চিন্তায় পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক পরিবার। তাদের দূর্ভোগ চরমে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ৩টি শাখা খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্প গুলো ও সঠিক পন্হায় নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন না করতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক ভাবে অবগত করেছেন বানিয়াচং সদরের ১ নং ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ২ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ও ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের আরফান মিয়াসহ বিষিষ্ট নাগরিক গণ। সূত্র জানায়, বানিয়াচংয়ের চতুর্পাশ্বে ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩১.৬ কিলোমিটার গড়ের খাল পুন:খনন করার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পাদন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় নেত্রকোনা জারিয়া বাজারের অসীম সিংহ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।