logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

বিশেষ সংবাদ

বসতবাড়ি

স্বাস্থ্য ও পরিবেশ
তাড়াইলে নরসুন্দা নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে বরুহা গ্রামের সওদাগরপাড়া মানুষের স্বপ্ন

রুহুল আমিন, ব্যুরো চিফ কিশোরগঞ্জ:কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে নরসুন্দা নদীর পাড় ঘেষে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বরুহা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড অর্থাৎ সওদাগরপাড়া হতে রাজঘাট পর্যন্ত প্রায় ২০০টি পরিবারের বসবাস। যুগের পর যুগ নরসুন্দা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে একটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পারের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যত্র আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার নদী পারে ছাপড়া উঠিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পাশে এখনো দাঁড়াননি সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো কর্মকর্তা কিংবা জনপ্রতিনিধি। ফলে পরিবারগুলো খেয়ে না-খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।  এক সপ্তাহ আগে নিজের বাড়ি হারিয়েও নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মৃত আলীমুদ্দীনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। নরসুন্দার পাড়ে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি হাত দিয়ে দেখালেন, ওই যে দুরে যেখানে জল পাক খাচ্ছে, সেখানেই ছিল তার বাড়ী। গাছপালা, গোয়ালঘর ছিল, কিন্তু এখন আর তার কিছুই নেই। তিনি বলছিলেন, দু'মাস ধরেই নদী একটু একটু করে ভাঙ্গতে শুরু করে। হঠাৎ তার ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে যায়।কিছুদিন হল তিনি অন্যত্র ঘর বেঁধেছেন।বরুহা গ্রামের সওদাগরপাড়ার হারুন অর রশিদ, হাবুল মিয়া, জামাল মিয়া, আংগুর মিয়া, মেনু মিয়া, হাবিবুর রহমান ও নয়ন মিয়া বলেন, বরুহা গ্রামের সওদাগরপাড়ার নদীর পাড়ের মানুষগুলো তাদের পৈতৃক আমল থেকেই এখানে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে অনেক প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসছেন। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। ফলে প্রতিদিনই মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছেন। তারা আরো বলেন, নদী ভাঙনের গতি প্রবল থাকায় আমাদের বসতবাড়ি নরসুন্দার গর্ভে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের অনেকেই বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় মানুষজন অন্যত্র বসবাস করছেন। হান্নান সওদাগড়, তারা মিয়া, ইসহাক মিয়া, সবুজ মিয়া, আলাল মিয়া, কাঞ্চন মিয়া বলেন, কৃষিজমি যা ছিল, সব নদে গেছে। আমরা সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা রিলিফ চাই না, সরকার যদি নদী ভাঙনরোধ করে দেয়, তাহলে কোনোমতে বাঁচতে পারব।