ঘাড় ও কোমর ব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণগুলি সাধারণ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা যায়।
লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস: মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় হওয়া।
পিএলআইডি (পোস্টেরিয়র ল্যাটারাল ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্ক ডিজেনারেশন): মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত ডিস্কের ক্ষয়।
মাংসপেশিতে টান: ভারী কাজ, ভুল বসার ভঙ্গি, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা ইত্যাদির কারণে।
অন্যান্য: অস্টিওআর্থারাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, আঘাত ইত্যাদি।
খারাপ বসার ভঙ্গি: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার, বই পড়া, ঝুঁকে কাজ করা ইত্যাদির কারণে।
মাংসপেশিতে টান: ভারী জিনিস বহন, ভুল ঘুমানোর ভঙ্গি ইত্যাদির কারণে।
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস: মেরুদণ্ডের হাড়ে অস্থিবৃদ্ধি।
অন্যান্য: হেড ইনজুরি, আর্থ্রাইটিস, ইনফেকশন ইত্যাদি।
বেদনা উপশম: ব্যথানাশক ঔষধ, আইস প্যাক, গরম সেঁক ইত্যাদি ব্যবহার।
ফিজিওথেরাপি: ব্যায়াম, ম্যাসাজ, ট্রাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে পেশী ও মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করা।
জীবনধারা পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক বসার ভঙ্গি, ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
চিকিৎসা: প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ ঔষধ বা অস্ত্রোপচার।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ব্যথানাশক ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়।
অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা ফিজিওথেরাপি করানো থেকে বিরত থাকুন।
ঘাড় ও কোমর ব্যথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসাযোগ্য। তাই দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা ও জটিলতার ঝুঁকি কমাতে পারেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!