মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
হাজীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে ২টি বসতঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের বেপারী বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই বাড়ির নেয়ামত উল্যাহ্ (৫২) ও তার ছেলে রাকিব হোসেনের (২৫) বসতঘরসত তাদের রান্নাঘরটি পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
জানা গেছে, সোমবার বেলা তিনটার দিকে নেয়ামত উল্যাহ্র বসতঘরটি হঠাৎ করে কোলো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডাক-চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসে। এরমধ্যে পুরো বসতঘর আগুন ধরে যায় এবং পার্শ্ববর্তী তার ছেলে রাকিবের ঘরেও আগুন লাগে। পরে লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টার করে এবং খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছালেও বাড়ির ভিতরে যেতে পারেনি।
এ দিকে আগুনে দুইটি বসতঘর, একটি রান্নাঘর, ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, দলিলপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও পোশাকসহ প্রায় ৮ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় রুহুল আমিন, মো. ওসমান, আলেয়া বেগম, ওয়াসকুরুনি, নূর হোসেনসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়। পরে তাদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মনির হোসেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আসলেও সড়কের বেহাল দশার কারনে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। তাছাড়া এর আগেই দিনমজুর বাবা ও ছেলের দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি বলেন, আগুনের লেলিহান শিখার কাছে মানুষ ছিল অসহায়। যার ফলে ওই পরিবারের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পরিদর্শন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব। তিনি জানান, এরা দিনমজুর। দিন আনে দিন খায়। বসতঘর দুইটি পুড়ে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও পিআইওকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম দেশের বাহিরে থাকায় আগুন লাগার বিষয়টি তাঁকে জানাতে পারেননি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!