ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য মেঝে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেঝে নোংরা হলে ঘর অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে এবং মশা, মাছি, আরশোলাসহ নানা ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়। তাই মেঝে পরিষ্কার রাখার জন্য কিছু টিপস জেনে রাখা ভালো।
প্রতিদিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেঝে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে মুছে নিন। মোছার সময় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিকুইড ব্যবহার করুন।
বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
সাদা মার্বেলের মেঝে পরিষ্কার করতে তারপিন তেলে সামান্য লবণ মিশিয়ে মুছে নিন। চা-কফির দাগ দূর করতে এক ভাগ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে দুই ভাগ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। দাগ দেখতে পেলেই স্প্রে করে মুছে ফেলুন। কারপেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। প্রতিমাসে অন্তত দুবার কারপেট পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কারপেট পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো। টাইলসের মেঝের দাগ তোলার জন্য গরম পানিতে লবণ গুলে মুছে নিন। সিমেন্টের মেঝের কালোভাব দূর করতে বাসন পরিষ্কার করা সাবানের সঙ্গে ভিনেগার, পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। ব্যবহারের আগে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন। কাঠের মেঝের দাগ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে, নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার (অ্যামোনিয়া ফ্রি) দিয়ে মুছে নিন। বাথরুমের মেঝে খুব সহজেই নোংরা হয়। তাই বাথরুম ব্যবহার করার পর একবার শুকনো করে মুছে নিন। কখনোই খুব বেশি গরম পানি দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার করবেন না। এতে সিমেন্ট ক্র্যাকড হয়ে যেতে পারে।
মেঝে পরিষ্কার করার কিছু টিপস
মেঝে পরিষ্কার করার সময় সবসময় হালকা রঙের কাপড় বা মপ ব্যবহার করুন। এতে মেঝেতে দাগ পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মেঝে পরিষ্কার করার জন্য কখনোই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করবেন না। এতে মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মেঝে পরিষ্কার করার পর ভালো করে শুকিয়ে নিন। এতে জীবাণু জন্মানোর সম্ভাবনা কম থাকে।
মেঝে পরিষ্কার করার কিছু সতর্কতা
সাদা মার্বেলের মেঝে পরিষ্কার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। এতে দাগ পড়তে পারে। কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার সময় বেশি শক্তভাবে ঘষবেন না। এতে মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এতে সিমেন্ট ক্র্যাকড হয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!