কুমিল্লা,দাফন সম্পন্ন, এমনকি কুলখানিও হয়ে গেছে। শোকে ডুবে আছে পরিবার। কিন্তু দাফনের ৯ দিন পর বাড়িতে হাজির হয়ে গেলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে।
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোকসানাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকার মানুষ। রোকসানা মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে রোকসানা চট্টগ্রামে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে যান রোকসানা। এরপর দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলে না।
ঈদুল আযহার দিন বিকেলে ফেনী শহরের ভাড়া বাসায় থাকা রোকসানার খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে এক নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা রোকসানার ভাই এবায়দুল হককে খবর দেন।
এবায়দুল হক ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপ-পরিদর্শক প্রতুল দাসের সাথে দেখা করেন এবং বোন রোকসানার ছবি দেখান। পুলিশ পরে এবায়দুল হকের হাতে লাশটি হস্তান্তর করে।
ওইদিনই গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে লাশটি দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের ৯ দিন পর, ২৬ জুন বিকেলে ঘটে বিপত্তি। রোকসানা বাড়িতে হাজির হলে সবাই হতবাক।
রোকসানা আক্তার বলেন, "আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়ে যাই। ২৬ জুন বাড়িতে এসে দরজায় নক করলে আত্মীয় স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়ে যায়। তখন আমি জানতে পারি - আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে এসেছি।"
নিখোঁজের ৯ দিন পর ফিরে আসা রোকসানার ভাই এবায়দুল হক বলেন, "খালাতো ভাই-বোনের সংবাদ পেয়ে ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের লাশ মনে করে পুলিশ থেকে লাশটি এনে দাফন করা হয়েছে।"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!