গতকাল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীকে নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে অভিহিত করেছেন। সেমিনারে বলা হয়েছে যে তিনি বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর পূর্বেই তিলি গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
নবাব ফয়জুন্নেসা একজন রক্ষণশীল ও ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবুও তিনি নারী শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন এবং সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে নারীদের শিক্ষিত করার জন্য কাজ করেছিলেন।
বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক ও কবি কামরুজ্জামান ভূইয়া নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি নবাব ফয়জুন্নেসার শিক্ষা, সমাজ সংস্কার, জনহিতকর কর্ম এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তার অবদান তুলে ধরেছেন।
প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. এস. এম. ইলিয়াস এবং নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি জাদুঘরের সমন্বয়ক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক এম.এস. দোহা।
সেমিনারে নবাব ফয়জুন্নেসার স্মৃতি ধারণে লাকসাম পশ্চিমগাঁওয়ে নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সেমিনারে নবাব ফয়জুন্নেসার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মিলাদ-উন-নবী পালন এবং ৬ নভেম্বর নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ১৮৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০৩ সালে মারা যান।তিনি তিলি গার্লস স্কুল, ফয়জুন্নেসা জেনানা হাসপাতাল এবং নবাব ফয়জুন্নেসা মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি ১৮৮৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে "নবাব" উপাধি লাভ করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!