জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। এই ক্যাফেটেরিয়াটির আয়তন খুবই ছোট এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই খাবার না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরের হোটেলগুলোতে খেতে হয়।
কয়েক মাস আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন একটি উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে নকশা প্রস্তুত করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। এই ধীরগতির কাজের কারণে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন পুষ্টিকর খাবারের।
পূর্বে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে একটি ছোট খাবারের দোকান ছিল। কিন্তু সেটিও এখন আর নেই। ফলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এই একটি ক্যাফেটেরিয়াই ভরসার স্থান।
ক্যাফেটেরিয়ায় সকালে ডাল, পরোটা, হালুয়া, তেহারী পাওয়া যায়। দুপুরে মাছ, ভাত, মুরগী পাওয়া যায়। বিকেলে ছোলা বুট, পুরি, হাল্কা নাস্তা পাওয়া যায়।
একজন শিক্ষার্থী জাহিদুল হাসান জানান, প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের একটি ক্যাফেটেরিয়ার জায়গাও ছোট। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে এসে দেখে খাবার শেষ। যদি আরেকটি ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত গড়ে তোলা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ উপকার হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নতুন ক্যাফেটেরিয়াটির জন্য অত্যাধুনিক একটি নকশা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মিটিং হয়েছে। আরেকটি মিটিং করে কত বাজেট লাগবে তা ফাইনাল হলে অর্থ দপ্তরে তা জমা দেওয়া হবে। দপ্তর থেকে ফাইল পাশ হলেই কাজ শুরু হবে।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি মিটিং হয়েছিল। আধুনিক ক্যাফেটেরিয়াটির নকশাটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত আছে। এখন আরো কিছু ফরমালিটি সম্পন্ন হলেই কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!