বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ( ববি) গত ২০ আগস্ট আওয়ামী সরকারের আমলের নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার পদত্যাগের পর উপাচার্য পদটি প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে খালি ছিলো,পরবর্তীতে ২২সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগন কতৃক ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের ভেতরেই ২৩ সেপ্টেম্বর ভিসি নিয়োগ দেয়া হয় ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরেও ৪২ কর্মদিবস পার হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন না হওয়া,দপ্তরে ফাইল আটকে থাকা,বেরোবির বিতর্কিত ভিসি কলিমুল্লাহকে কমিটিতে রাখা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন নিয়োগে বিতর্ক সহ মোট বিশটি কারন দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষার্থীদের
একপক্ষ। পরবর্তীতে গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলাম স্যারের মাধ্যমে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান জানান। সেই মতবিনিময় সভার ঠিক আগে আগে ভিসির পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা ব্যানার সহ আসেন উপাচার্যের কার্যালয়ে থাকা তালা
খুলতে,আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সেখানে বাধা দেন এবং তাদের ব্যানার ছিড়ে ফেলেন।এসময়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা এবং পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দদাশ হলরুমে মতবিনিময় সভায় বসেন উপাচার্য। এসময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মো: মনিরুল ইসলাম, প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলাম এবং মেয়েদের দুই হলের প্রভোস্ট।সেখানে উপস্থিত হন ভিসিবিরোধী এক দফা আন্দোলনকারীরা এবং ভিসির পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা।বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলা এ মতবিনিময় সভায় উপাচার্যের সামনেই একাধিকবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরেন আন্দোলনকারীরা এবং ভিসিকে স্বপদে বহাল রাখার
পক্ষের শিক্ষার্থীরা।উপাচার্য গত ৪২ কর্মদিবসে তার করা কাজের ব্যাখ্যা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মতামত জানাচ্ছিলেন তবে দুইপক্ষের একাধিকবার উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি স্লোগান এবং হাতাহাতির ঘটনায় সর্বশেষ উপাচার্য মহোদয় প্রত্যেক বিভাগের মাধ্যমে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য পালাক্রমে আলেচনায় বসার ঘোষনা দিয়ে সভা ত্যাগ করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!