মোঃ রাব্বি ঢালী।। ঠিক এখন থেকে আরও বাড়ছে শীতের প্রকোপ।আবহাওয়া ও চিম চিমা বাতাশসহ শীত বইছে দেশব্যাপী ।
অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশা ও শীতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ সন্নিকটে। নদীমাতৃক জেলা গুলোতেও সমানভাবেই জানান দিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বভাস। শীতের সঙ্গে বাড়ছে বাতাশ আর বাড়ছে শীতের কাপড়ের বাড়তি চাহিদা।
গ্রাম থেকে শহরে ছোট-বড় দোকান গুলো থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান গুলোতেও চলে এসেছে শীতের পোশাক।
সপ্তাহখানেক আগে থেকে বেচা-বিক্রিও শুরু হয়েছে। শপিং মলে এখনও তেমন বেচা-বিক্রি চোখে না পড়লেও ফুটপাতে শীতের কাপড়ের আগাম বেচাকেনা ভালোই চলছে।
বিকাল থেকে রাত অবধি বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শহরের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো।
বুধবার থেকে শীতের আবহাওয়া কিন্তু খুব বাড়ছে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরাও শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন । শীতের জ্যাকেট, চাদর, গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, পুরনো কমফোর্টার, হাতমোজা, কান-টুপিসহ সবধরনের শীতবস্ত্রই মিলছে এসব দোকানে। অনেক দোকানে আবার শুধুই শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।পাড়া মহল্লা সহ শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে শীতের কাপড় বিক্রি করা দেলোয়ার হোসেন ঢালী বলেন, ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাই। এখন শীতের মৌসুম, তাই শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছি। গতবছরের অনেক শীতের কাপড় রয়ে গেয়েছিল। এখন সেগুলো কম দামে বিক্রি করছি।
এই বিক্রেতা আরও বলেন, এ বছর নতুন করে যেসব কাপড় আসবে সেগুলোর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। এখন সব ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি। নতুন কাপড়ের দাম আরেকটু বেশি হবে। পুরনো কাপড় বিক্রি শেষ হয়ে গেলে নতুন কাপড় বিক্রি করবো। গতবারের তুলনায় এবার এক লটে দু'আড়াই হাজার টাকা বেশি দিয়ে কাপড় কিনতে হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!