মোঃ আবু হানিফ বিন সাঈদ :: হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের এদিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাতবরণ করেন। একই সাথে শহিদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ অনেক নিকট আত্মীয়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। আমি শোকাহত চিত্তে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে কালাইনজুড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গনে ৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল মজিদ খান উপরোক্ত কথা গুলো বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা মহান স্বাধীনতার রূপকার। বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। দীর্ঘ চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাক্তার মোঃ শফী উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন মিয়ার পরিচালনায় শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তজম্মুল হক চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, বড়ইউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব ফরিদ আহমেদ বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব দেলোয়ার হোসাইন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম চৌধুরী রিপন, তাছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!