ছাত্রজীবনে সাধারণ লজিং মাস্টার হিসেবে শুরু করা আবদুর রহমান আজ শতকোটি টাকার মালিক। একসময় ফরিদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবদুর রহমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসেন। তবে তার বিরুদ্ধে জমি দখল, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
আবদুর রহমান ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিতর্কিত নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এরপর আরও দুবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। দায়িত্ব পালন করেছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরও।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থেকে তিনি নিজের এবং পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে। তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও শোনা যায়, তিনি ৫ আগস্টের পরপরই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, মাত্র ১৪ শতাংশ জমির উত্তরাধিকারী আবদুর রহমান এখন শতকোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। সরকারি জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন, এমনকি বিদেশেও সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, মনোনয়ন-বাণিজ্য এবং প্রতিপক্ষদের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
আবদুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদ ইসলাম বন্যা এবং মেয়ের জামাতা জুবের নিলয়ের নামেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন উপজেলায় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল এবং সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করে বিপুল সম্পদ গড়েছেন।
গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে আবদুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!