বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ (রেজা গ্রুপ ও জেরিন-শান্ত গ্রুপ) জেল হত্যা দিবস পালন করেছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) আলাদা সময়ে শোক র্যালির মাধ্যমে জেল হত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণ করা হয়।
রেজা গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে থেকে শোক র্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে আলোচনা সভার মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রম শেষ হয়।
অন্যদিকে জেরিন-শান্ত গ্রুপের কর্মীরা বিভিন্ন হল থেকে শোক র্যালি করে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন শুভ বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আজকের এইদিনে বাঙালি জাতির চার নেতাকে জেলের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, 'আজকের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা যারা তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী এবং বঙ্গবন্ধু পরবর্তী নেতৃত্বগুণা ছিল তাদেরকে জেলখানার মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ভবিষ্যতে এইসকল বেঈমান এবং তাদের বংশধররা যাতে দেশে কোন অরাজকতা তৈরি করতে না পারে সেদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সোচ্চার ছিলো, আগামীতেও থাকবে।'
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!