মোঃ মাসুম পারভেজঃ
জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ আসনে দলটির পক্ষ থেকে ছয় নেতা মনোনয়নের আশা করছেন।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনকে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় এগিয়ে রয়েছেন ছয় জন প্রার্থী। তারা আশা করছেন, যোগ্যতা ও ত্যাগের ভিত্তিতেই হাইকমান্ড প্রার্থী বাছাই করবে।
আলহাজ্ব এম এ হান্নান
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য। দলের দুঃসময়ে সক্রিয় ভূমিকা, মামলা-হামলায় জর্জরিত জীবন ও উন্নয়নমূলক অবদানের কারণে তিনি পরীক্ষিত নেতা হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আছেন। বিশেষভাবে উপজেলায় ১৬টি মসজিদ দান করে তিনি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
লায়ন মোঃ হারুনুর রসিদ
সাবেক সাংসদ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক। দলের সংকটময় সময়ে সংগঠিত ভূমিকা এবং কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার জন্য তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।
মোঃ মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। দীর্ঘদিন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করেছেন। তার অনুসারীরা মনে করেন, তাকে মনোনয়ন দিলে ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।
লায়ন আল আমীন
স্পিডি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য। শিক্ষিত, মার্জিত ও তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত তিনি। স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন।
মোঃ হুমায়ুন বেপারি
জাসাস কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি। স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুখ হিসেবে সব সময় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছেন। মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় তাকেও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
হুমায়ুন কবির বেপারি
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি। দলীয় কর্মকাণ্ডে নির্যাতিত হয়ে কারাভোগ করেছেন। সাংগঠনিকভাবে ফরিদগঞ্জে সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কারণে তাকেও মনোনয়ন প্রত্যাশায় দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ছয়জনই মাঠে সক্রিয় হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কৌশল ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ওপর।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!