বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমরা অচিরেই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সংস্কারের নামে কোন তালবাহানা চলবে না।
আমরা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলাম এখনো দিচ্ছি। কিন্তু এই সরকারের সময় যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। তার থেকে উত্তোলনের একটি পথ। তা হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
১৭ ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার বিকেলে শহরের হাসান আলী মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের নিয়ন্ত্রণ, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, পতিত ফ্যাসিবাদের অপচেষ্টা মোকাবেলা সহ বিভিন্ন জনদাবীতে চাঁদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত স্বরণকালের বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে বাংলাদেশের সকল জায়গায় আমরা কয়েকটি কারণে একত্রিত হচ্ছি।তা হলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন জনদাবী।
এই সরকারের দায়িত্ব হলো একটি গ্রহন যোগ্য নির্বাচন করা। আপনারা জানেন গত ১৭ বছর আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। উদার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে একটি গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন করেছি।আমাদের নেতা তারেক রহমান এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন আমাদের ছোট ছোট ভাই বোনেরা মনেকরে তাদের আন্দোলনেই বিগত সরকার বিদায় নিচ্ছে এটা কি ঠিক? এটা ঠিক না। আমরা চাই একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
অন্যথায় এদেশের জনগণ যদি আন্দোলন সংগ্রামে নামে তাহলে আপনাদের অবস্থাও কিন্তু নড়বড়ে হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার সংস্কারের কথা বলছে।আমরাও সংস্কার চাই সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু সংস্কারের নামে তাল বাহানা চলবে না। জনগন যদি চায় তাহলে আশাকরছি আগামীতে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবো।
তিনি বলেন, যারা আজকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়।আমরা মনেকরি এটিও একটি ষড়যন্ত্র।পাশাপাশি একটি কথা বলবো। আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। নিজের মধ্যে বিভেদ করা যাবে না। অদূর ভবিষ্যতে যখন নির্বাচন হবে তখন যেই মনোনয়ন পাক তাকে নির্বাচিত করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি (কুমিল্লা বিভাগীয়) সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া,এলডিপি কেন্দ্রীয় নেতা আবু তাহের, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশীদ,কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরা ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, অ্যাড. হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহজালাল মিশন ও অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, আব্দুস শুক্কুর পাটওয়ারী, দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সেলিমউস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী,অ্যাড:শামছুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহির উদ্দিন বাবর, আফজাল হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাড. মুনিরা চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্যাহ খোকন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা মুক্তা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. নূরুল আমিন খান আকাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদ মাঝি, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী।
সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওঃ জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।
এর আগে দলীয় নেতৃবৃন্দ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে জনসমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়।নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এক সময় মাঠ পেরিয়ে আশেপাশের রাস্তাও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর এধরনের একটি সমাবেশ হওয়ায় নেতাকর্মিরা অনেকটাই উৎফুল্ল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!