ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।। : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ -২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে এড: ময়েজউদ্দিন শরীফ রুয়েল কে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় বানিয়াচংয়ে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তে বানিয়াচং -আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।
মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বিগত ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এডঃ আব্দুল মজিদ খান।
এড: আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দুটির আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে তিনি নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছিলেন।
এ বিষয় গুলো নিয়ে দলীয় গ্রুপিং কিংবা ঝগড়া বিবাদ না হলেও এইবারের মনোনয়নের ক্ষেত্রে মজিদ খান ব্যাতিত দলীয় সকল প্রার্থী ঐক্যবদ্ধ ছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী মিলে ১১ নম্বর মক্রমপুর ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ করে মজিদ খান কে নৌকা না দিয়ে যে কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি আহবান জানিয়েছেলেন।
গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সময় হবিগঞ্জ-২ আসনে এড: ময়েজউদ্দিন শরীফ রুয়েলের নাম ঘোষণার সাথে সাথে বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ উল্লাস করার খবর পাওয়া যায়।
তাতক্ষনিকভাবে বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকায় বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মওদুদ আল মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা জসিম উদ্দিন, বাবুল মিয়া,ও এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আত্মীয় লীগ,চামচা লীগ,টনবন লীগের অত্যাচার আর বাড়াবাড়ির কারণে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
আমরা এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চাওয়া পূরণ করেছেন।
উনার জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা ফারুক হোসেন জানান, আমরা মিছিল করেছি। আমরা আজ খুবই আনন্দিত।
উপজেলা যুবলীগের নেতা মাসুদ মিয়া মিটুন জানান,আমরা আজ অনেক আনন্দিত।
আনন্দ ভাগ করে নিতে আমরা মিষ্টি বিতরণ করেছি।
সুজন নামে একজন জানান সাধারণ জনগণ হিসেবে আমি বলতে পারি মাননীয় নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা ঐতিহাসিক।
মোশাহেদ জমাদার নামে এক বাউল শিল্পী জানান, এখন অন্যায় ও জুলুম এবং লুটপাট বন্ধ হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!