প্রত্যাশা ছিল ৯০ মিলিয়ন, আয় ছাড়াল ৩১৩ মিলিয়ন
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সব হিসেব উল্টে দিল ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’। ওয়ার্নার ব্রসের নিজস্ব পূর্বানুমান ছিল সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৭০-৯০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল আরও চমকপ্রদ—মাত্র এক সপ্তাহে সিনেমাটি আয় করেছে ৩১৩ মিলিয়নেরও বেশি, যা ভেঙে দিয়েছে ‘বার্বি’র মতো রেকর্ডও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গতিতে চলতে থাকলে ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবেও ঢুকে পড়তে পারে খুব দ্রুতই। কী কারণে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য? চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
সব বয়সী দর্শকের সিনেমা:
অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি—সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে পারিবারিক বিনোদনের উপযোগী। কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণ দর্শকরাও সিনেমাটি উপভোগ করছেন সমানভাবে। এমনই মত ভ্যারাইটিসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের।
তুমুল প্রচারণা:
সিনেমাটি শুধু বড় বাজেটেই তৈরি হয়নি, ছিল সুবিন্যস্ত প্রচারণাও। জনপ্রিয় ব্যান্ড ও ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে চালানো হয় প্রচারণা। টিনএজারদের বিশেষভাবে টার্গেট করে ক্যাম্পেইন চালানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা দর্শক টানতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পেন্ট-আপ ডিমান্ড:
গত কয়েক মাসে বড় বাজেটের সিনেমাগুলো আশানুরূপ সাড়া ফেলতে পারেনি। এই শূন্যতায় দর্শকরা অপেক্ষায় ছিলেন একটি ব্লকবাস্টারের। ঠিক তখনই হাজির হয় ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’, যা মুহূর্তেই দর্শকদের হলমুখী করে তোলে।
ভিত্তি ভিডিও গেম থেকে:
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘Minecraft’ অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা। ভিডিও গেম থেকে সিনেমা বানানো সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জ, তবে পরিচালক জারেড হেস সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছেন। ভিডিও গেমের মূল চরিত্র ও প্লটকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতেই সিনেমাটি পেয়েছে এত জনপ্রিয়তা।
সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট:
রিলিজের ৯ মাস আগে থেকেই TikTok, Instagram, Facebook, X—সব প্ল্যাটফর্মেই চালানো হয় ধারাবাহিক প্রচারণা। প্রতিটি ভিডিও, ট্রেলার এবং পোস্ট দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা টিম নিয়মিত কনটেন্ট দিয়েই দর্শক আকৃষ্ট করে চলেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!