সময়ের সাথে সাথে জীবনধারা পাল্টাচ্ছে। কলেজ পাস করতে করতে বয়স ২১, স্নাতকোত্তর শেষ করতে করতে ২৩-২৪। এরপর যদি কেউ পিএইচডিতে যান, তাহলে বয়স পৌঁছায় ৩০-এর কোঠায়। চাকরি পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ের দিকে অগ্রসর হতে হতে অনেকের বয়স ৩২-৩৩। এরপর, দাম্পত্য জীবন উপভোগ করে বাবা হওয়ার সময় আসে, যা প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি।
কিন্তু এই বয়সে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, এর পাশাপাশি পুরুষদের ক্ষেত্রেও কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গবেষণাগুলো বলছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং মান কমতে থাকে। শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাস, পরিমাণ হ্রাস এবং ডিএনএ ফ্র্যাগমেন্টেশন বৃদ্ধি পাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে পিতা হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের মধ্যে মিউটেশন বা জিনগত সমস্যা দেখা দেয়, যা পরবর্তী প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরুষদের প্রজনন কোষ বা শুক্রাণুতে ডি নোভা মিউটেশনের অস্তিত্ব বাড়ে, যা শিশুর শরীরে নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অধিক বয়সে বাবা হলে সন্তানের মধ্যে মানসিক সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা অ্যাটেনশন হাইপারঅ্যাক্টিভিটির মতো বিভিন্ন মানসিক রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
এইসব বিষয়গুলো পুরুষদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে এসেছে। তাই, পরিবার পরিকল্পনায় বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং পরিবারের জন্য সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আজকের দিনে একটি সচেতনতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!