পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সন্ধানে হাইড্রোজেন একটি সম্ভাবনাময় উৎস। পেট্রোল ও ডিজেলের বিকল্প হিসেবে যানবাহন চালানো, ইস্পাত ও রাসায়নিক শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার জন্য হাইড্রোজেন ব্যবহার করা সম্ভব। কারণ এর দহনের ফলে শুধুমাত্র পানি অবশিষ্ট থাকে।
পৃথিবীর গভীরে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন জমা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির নীচে এমন ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করা হয়।
কার্বন নির্গমন হ্রাস: প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলে গ্রহের কার্বন নির্গমন নাটকীয়ভাবে কমে আসবে।
টেকসই জ্বালানি: প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার টেকসই হতে পারে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার: যানবাহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ইস্পাত ও রাসায়নিক শিল্পে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা সম্ভব।
অনুসন্ধান: পৃথিবীতে এখনও ভালোভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়নি। মাটির গভীরে অনেক কিছু অজানা থেকে গেছে।
উত্তোলন: মাটির নীচ থেকে হাইড্রোজেন উত্তোলন করা ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন।
খরচ: হাইড্রোজেন উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহারের খরচ এখনও বেশি।
মালিতে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি হাইড্রোজেনের সন্ধানে ড্রিলিং করছে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে হাইড্রোজেন উত্তোলন ও ব্যবহারের খরচ কমতে পারে।প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন পরিবেশবান্ধব জ্বালানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠতে পারে।
প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন পরিবেশবান্ধব জ্বালানির একটি সম্ভাবনাময় উৎস। কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এই সম্পদ কাজে লাগানো সম্ভব হতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!