জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি খাত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফেলোশিপ পেয়েছেন। তারা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান এবং রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী।
ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারীর ফেলোশিপ
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পেয়েছেন। তার ফেলোশিপের সহযোগী হিসাবে আছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী পাবেন তিন লক্ষ টাকা।
ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী জানান, তার ফেলোশিপের অধীনে “সিলভার (Ag) প্লাজমোনিক উদ্দীপকের উপস্থিতিতে ফটোক্যাটালিটিক এবং ফটোঅ্যানোডিক ব্যবহারের জন্য সিলভার-জিংক অক্সসাইড পাতলা ফিল্মের ডিভাইস তৈরি” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানিকে ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে আলাদা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাইড্রোজেন একটি উৎকৃষ্ট ভবিষ্যৎ জ্বালানি।
ড. মো. খলিলুর রহমানের ফেলোশিপ
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান ফিজিক্যাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পেয়েছেন। তার ফেলোশিপের সহযোগী হিসাবে আছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার কলি। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ড. মো. খলিলুর রহমান পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা।
ড. মো. খলিলুর রহমান জানান, তার ফেলোশিপের অধীনে “হাইপারস্পেস মডেলিং এবং সিমুলেশন” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাইপারস্পেস সম্পর্কে গবেষণা করা হবে। হাইপারস্পেস হলো আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান।
ফেলোশিপের গুরুত্ব
দুই শিক্ষকই তাদের ফেলোশিপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তারা বলেন, এই ফেলোশিপ তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এছাড়াও, এই ফেলোশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!