কনকনে শীতেও অজু ও নামাজের মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ
শীতকালে যেকোনো কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত, কনকনে ঠান্ডায় কম্বল ছেড়ে অজু করার কথা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়। তবে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শীতকালীন অজু ও নামাজের জন্য বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ করেছেন।
শীতে অজুর ফজিলত
নবীজি (স.) এক হাদিসে বলেছেন:
“আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন এবং মর্যাদা বাড়াবেন?”
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, “অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসুল!”
তিনি বললেন, “তা হলো (শীত বা অন্য যে কোনো ঠান্ডা) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা।”
(মুসলিম ২৫১)
এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে অজু করার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ ফজিলত। গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি এতে মুমিনের মর্যাদা আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি পায়।
শীতে নামাজের বিশেষ ফজিলত
শীতকালে ফজর ও এশা নামাজ পড়ার জন্য নবীজি (স.) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।
হজরত আবু বকর ইবনে আবু মুসা (রা.) তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি দুই শীতের নামাজ (ফজর ও এশা) আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
(বুখারি ৫৭৪)
শীতকাল: ইবাদতের বসন্তকাল
মুমিনদের জন্য শীতকাল শুধু কষ্ট নয়, বরং এটি ঈমানি উদ্দীপনার সময়। প্রিয় নবীজি (স.) শীতকে ইবাদতের বসন্তকাল হিসেবে অভিহিত করেছেন। গুনাহ থেকে মুক্তি এবং জান্নাতের সুসংবাদ অর্জনের জন্য এই সময়টি ইবাদতে কাটানো অত্যন্ত মূল্যবান।
শীতের এই সময়টিতে ঠান্ডা সহ্য করে ইবাদতে মনোযোগী হওয়া মুমিনদের জন্য ঈমান শক্তিশালী করার এক অনন্য সুযোগ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!