ধর্মীয় জীবনে মহান আল্লাহর স্মরণে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামি পরিভাষায় ‘জিকির’ শব্দটির মাধ্যমে আল্লাহর স্মরণ করা হয়। এটি আরবি শব্দ, যার অর্থ স্মরণ বা উল্লেখ করা। জিকির একটি স্বতন্ত্র ইবাদত, যা দ্বারা মুসলিমরা মহান আল্লাহর কাছে তাদের একনিষ্ঠতা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
এছাড়া, কিছু বিশেষ দোয়া রয়েছে যা পাঠ করলে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের আশা রাখতে পারে। ইসলামি শিক্ষায় এই দোয়াগুলোর গুরুত্ব ব্যাপক।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া তুলে ধরা হলো:
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে দোয়া:
“رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآَخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ”
অর্থ: হে আমাদের রব! দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা ২০১)
এই দোয়া মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কল্যাণ প্রাপ্তির মাধ্যম হতে পারে।
অনুগ্রহ কামনা ও দুনিয়া-আখিরাতের কাজ সঠিকভাবে করার দোয়া:
“رَبَّنَا آَتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا”
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে করতে সহায়তা করুন। (সুরা কাহাফ ১০)
এই দোয়া আল্লাহর রহমত লাভের পাশাপাশি জীবনের সঠিক পথ নির্দেশনার জন্য পড়া যেতে পারে।
আল্লাহর দান ও কল্যাণ প্রাপ্তির জন্য দোয়া:
“رَبِّ إِنِّيْ لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ”
অর্থ: হে আমার রব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার কাঙাল। (সুরা কাসাস ২৪)
হজরত মুসা (আ.)-এর দোয়া থেকে আমরা শিখতে পারি কিভাবে আল্লাহর দানের প্রতি অঙ্গীকার রেখে জীবন পরিচালনা করা উচিত।
এভাবে, ইসলামে আল্লাহর স্মরণ ও দোয়ার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। জিকিরে মনোনিবেশ করে ও দোয়া করে একজন মুসলিম তার ধর্মীয় জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে আরও বেশি নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!