logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - ধর্ম ও জীবন- মদিনায় ভূমিকম্প হজরত ওমর (রা.)-এর ঐতিহাসিক ভাষণ

মদিনায় ভূমিকম্প হজরত ওমর (রা.)-এর ঐতিহাসিক ভাষণ

মদিনায় ভূমিকম্প হজরত ওমর (রা.)-এর ঐতিহাসিক ভাষণ| ছবি সংগ্রহীত

ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা মদিনায় হজরত ওমর (রা.)-এর নসিহত ও সতর্কবার্তা



মদিনা মুনাওয়ারায় ভূমিকম্প হলে হজরত ওমর (রা.) মিম্বারে উঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, তা যুগে যুগে মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির স্মরণ জাগিয়ে তোলে। তিনি জানান, মানুষের গুনাহ ও পরিবর্তনের কারণেই এ ধরনের সতর্কতা নেমে আসে।


আরও পড়ুন

ঘন ঘন ভূমিকম্প কি কিয়ামতের লক্ষণ?

ঘন ঘন ভূমিকম্প কি কিয়ামতের লক্ষণ?| ছবি সংগ্রহীত

ইসলামের ইতিহাসে হজরত ওমর (রা.) একজন ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু ও আদর্শ শাসক হিসেবে খ্যাত। তার শাসনামলের এক সময় মদিনা মুনাওয়ারায় ভূমিকম্প হলে তিনি গভীর উদ্বেগ নিয়ে মিম্বারে উঠে মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন।


ইমাম ইবনে আবি শাইবা ‘মুসান্নাফ’-এ হজরত সাফওয়ান ইবনে উমর (রা.)-এর সূত্রে শুরাহবিল বিন সিমতের বর্ণনা উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর হজরত ওমর (রা.) বলেন, “হে মদিনার লোক! তোমরা এত দ্রুত কী পরিবর্তন করলে? আল্লাহর কসম! যদি ভূমিকম্প আবার ফিরে আসে, আমি তোমাদের মধ্য থেকে সরে যাব।” (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস ৩১২১৯)


অন্য এক বর্ণনায় ইমাম বায়হাকি উল্লেখ করেন, হজরত ওমর (রা.) বলেন, “মানুষ যে গুনাহ সৃষ্টি করে, তার কারণেই ভূমিকম্প আসে।” (শু‘আবুল ইমান, ৮/৩৬৪) তার দৃষ্টিতে ভূমিকম্প কেবল প্রাকৃতিক ঘটনা নয়; বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা।


তিনি যে বলেছিলেন—“তোমরা কত দ্রুত বদলে গেছ”—তা ইঙ্গিত দেয়, সমাজে গাফিলতি, শৈথিল্য ও গুনাহের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। একজন খলিফা হিসেবে তিনি বুঝেছিলেন, আল্লাহর রহমত কমে গেলে বিপর্যয় নেমে আসে।


কুরআনে বলা হয়েছে, “তোমাদের বিপদের কারণ তোমাদের নিজেদের কর্ম।” (সূরা শুরা, আয়াত ৩০) আবার অন্য আয়াতে এসেছে, “আমি নিদর্শন পাঠাই ভীতি প্রদর্শনের জন্য।” (সূরা ইসরা, আয়াত ৫৯) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আধ্যাত্মিক দিকও রয়েছে—হজরত ওমরের বক্তব্যে তা স্পষ্ট।


রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বহু হাদিসে উল্লেখ আছে, সমাজে অশ্লীলতা, প্রতারণা, যাকাত অবহেলা ও অবিচার বাড়লে বিপর্যয় আসে। কেয়ামতের আগে ভূমিকম্প বাড়বে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। (বুখারি, হাদিস ১০৩৬)


হাদিস বিশারদদের মতে, ওমর (রা.)-এর যুগে ব্যবসায় প্রতারণা, বিলাসিতা ও কিছু সামাজিক গুনাহ বাড়তে শুরু করেছিল। তাই তিনি ভূমিকম্পকে আত্মসমালোচনার ডাক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে চারটি শিক্ষা স্পষ্ট—
১) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আধ্যাত্মিক দিক রয়েছে।
২) গুনাহ আল্লাহর রহমত হটিয়ে দেয়।
৩) নেতা গুনাহের পরিবেশে নির্লিপ্ত থাকতে পারেন না।
৪) বিপদে আল্লাহর দিকে ফিরে আসাই মুক্তির পথ।


আজ পৃথিবীতে ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড়–তুফান বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে হজরত ওমর (রা.)-এর প্রশ্নটি আমাদেরও ভাবিয়ে তোলে—আমরা কোথায় বদলে গেছি? কোন ভুলের দিকে আল্লাহ আমাদের দৃষ্টি ফেরাতে চাইছেন? কীভাবে আমরা ফিরে যাব আমাদের রবের দিকে?

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

মদিনায় ভূমিকম্প হজরত ওমর (রা.)-এর ঐতিহাসিক ভাষণ

মইনুল ইসলাম গাজী, ইসলামিক প্রতিনিধি

image

ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা মদিনায় হজরত ওমর (রা.)-এর নসিহত ও সতর্কবার্তা



মদিনা মুনাওয়ারায় ভূমিকম্প হলে হজরত ওমর (রা.) মিম্বারে উঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, তা যুগে যুগে মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির স্মরণ জাগিয়ে তোলে। তিনি জানান, মানুষের গুনাহ ও পরিবর্তনের কারণেই এ ধরনের সতর্কতা নেমে আসে।