নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ।তবে গরমের সময় জোহর নামাজ বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব (উত্তম)।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) গরমের দিনে জোহর নামাজ বিলম্ব করে আদায় করতেন।জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় দুপুরের সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিম আকাশে একটু হেলে পড়া থেকে।জোহর নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয় যখন কোনো বস্তুর নিজস্ব ছায়া একগুণ হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "জোহর নামাজ ঠান্ডা অবস্থায় পড়ো, কেননা গরমের তীব্রতা দোজখের উত্তাপের কারণে হয়।" (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
আবুজর গিফারি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে একদা ভ্রমণে ছিলাম, সে মুহূর্তে মুয়াজ্জিন জোহরের নামাজের আজান দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে রাসুলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেন- 'ঠান্ডা হতে দাও' কিছুক্ষণ পর মুয়াজ্জিন পুনরায় আজানের প্রস্তুতি নিলে রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেন, 'ঠান্ডা হতে দাও' এমনকি আমরা পাহাড়ের দীর্ঘ ছায়া দেখতে পাই, অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, গরমের তীব্রতা দোজখের উত্তাপের কারণে হয়। অতএব, তীব্র গরমকালে ঠান্ডা করে নামাজ পড়বে (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
বিশিষ্ট ফকিহ ইমাম ইবনে কুদামা লিখেন- "ঠান্ডা করে নামাজ পড়ার অর্থ এতটুকু বিলম্ব করে জোহর নামাজ পড়া যাতে গরম বিলুপ্ত হয়ে আবহাওয়া শীতল হয়ে যায়।" (মাজমুয়াতুল ফাতাওয়া)
জোহর নামাজ বিলম্ব করলেও ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই আদায় করতে হবে।
যদি কেউ অসুস্থতা বা অন্য কোনো বৈধ কারণে জোহর নামাজ বিলম্ব করে, তাহলে তার জন্য গুণা আছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!