গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা ও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের প্রতি ‘জিহাদে’র আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি করেছেন ১৫ জন শীর্ষস্থানীয় ইসলামী চিন্তাবিদ। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স (আইইউএমএস) এর মহাসচিব আলি আল-কারদাঘি এই গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া প্রকাশ করেন।
এই ফতোয়া অনুযায়ী, বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ এবং জনগণকে গাজার নিরীহ শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
⚠️ ‘গাজায় যা হচ্ছে, তা হারাম এবং ন্যক্কারজনক’ — ফতোয়ায় স্পষ্ট ঘোষণা
ফতোয়ায় বলা হয়েছে, “গাজার মুসলিমদের নির্মূল করতে ইসরায়েল যেভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম এবং সমর্থনযোগ্য নয়।”
এছাড়াও ফতোয়ায় ইসরায়েলের প্রতি অস্ত্র রপ্তানি ও তাদের জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ ব্যবহারের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে।
🛑 শান্তিচুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যে সকল শান্তিচুক্তি বা কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে ফতোয়ায়। বলা হয়েছে, “এই মুহূর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনো অবকাশ নেই।”
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের প্রতিও বিশেষ আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, “তারা যেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যাতে তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।”
🩸 গাজায় ফের রক্তগঙ্গা
উল্লেখ্য, গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পরই ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা শুরু করে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চালানো এই আগ্রাসনে মাত্র দুই সপ্তাহে শত শত শিশুসহ ১,২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
📣 ‘গাজার জন্য জাগো মুসলিম বিশ্ব’
আলি আল-কারদাঘি বলেন, “যখন গাজা ধ্বংস হচ্ছে, তখন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতা—এটা গাজার নির্যাতিত ভাইদের প্রতি একটি বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।”
তিনি আরও বলেন, “এখন সময় এক হওয়ার, সময় সত্যিকার জিহাদের।”
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!