আজান হলো মুসলমানদের নামাজের জন্য ডাক। আজানের জবাব দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, অর্থাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন।
শহরাঞ্চলে এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদের দূরত্ব কম হওয়ায় একই বাসা থেকে একাধিক মসজিদের আজান শোনা যায়। এক্ষেত্রে আজানের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে:
যদি একাধিক মসজিদের আজান শোনা যায় যার একটি শেষ হওয়ার পর আরেকটি শুরু হয়, তবে প্রথম মসজিদের আজানের উত্তর দিলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে।
আর যদি সব মসজিদের আজান একই সঙ্গে শুরু হয়, তবে নিকটবর্তী মসজিদ বা নিজ মহল্লার মসজিদের আজানের উত্তর দিলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে।
তবে উভয় অবস্থায় একাধিক মসজিদের আজানের উত্তর দেওয়ার অবকাশ আছে। ব্যক্তি যতবার আজানের উত্তর দেবে, ততবারই সওয়াব লাভ করবে।
আজান শুনে "আল্লাহু আকবার" বলে আজানের জবাব দিতে হবে। তারপর মুয়াজ্জিনের বলার সাথে সাথে একই কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।
আজানের জবাব দেওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:আজানের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়। আজানের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমানের ঈমান ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। আজানের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমানের জন্য নামাজের জন্য প্রস্তুত হওয়া সহজ হয়। সুতরাং, আজানের জবাব দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!