আধুনিক সমাজে উদারতা ও সম্প্রীতির নামে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে অংশগ্রহণ বা সমর্থনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ইসলামের মূল আকিদা ও একত্ববাদের ভিত্তির সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ও শিরক থেকে মুক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্রিসমাস উদযাপন: ইসলামের অবস্থান
প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে ক্রিসমাস উদযাপন করেন। তাদের বিশ্বাস, যিশু খ্রিস্ট আল্লাহর পুত্র। এই ধারণা ইসলামের একত্ববাদী শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। মুসলমানদের জন্য এই উদযাপনে অংশগ্রহণ বা সমর্থন দেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
কুরআনের নির্দেশনা
সুরা ইখলাসে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে বলেছেন:
"তিনি এক, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।" (সুরা ইখলাস: ১-৪)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
"আল্লাহ কখনো শিরক ক্ষমা করেন না, তবে অন্য সব পাপ তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করতে পারেন।" (সুরা নিসা: ৪৮)
নবিজির সতর্কবার্তা
রাসুল (সা.) একাধিক হাদিসে অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির অনুসরণ করা থেকে সতর্ক করেছেন। স্কলারগণ একমত যে, "মেরি ক্রিসমাস" বলে অভিবাদন জানানো ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং এটি কবিরা গুনাহ হিসেবে গণ্য হয়।
শিরক থেকে দূরে থাকা
ক্রিসমাস উদযাপনকে সমর্থন করা মানে খ্রিস্টানদের বিশ্বাসের প্রতি সমর্থন জানানো। অথচ শিরক ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ। সুরা মারিয়ামে আল্লাহ বলেন:
"তারা বলে দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। এটি এমন একটি গুরুতর অপরাধ, যার ফলে আকাশ ভেঙে পড়তে পারে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হতে পারে এবং পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে।" (সুরা মারিয়াম: ৮৮-৯০)
মুসলমানদের জন্য বার্তা
মুসলমানদের ঈমানের মূল শিক্ষা হলো একত্ববাদের প্রতি আপসহীন আনুগত্য। সম্প্রীতির নামে শিরকের প্রতি কোনো ধরনের সমর্থন দেওয়া ইসলামের আকিদার পরিপন্থী। সুতরাং, মুসলমানদের উচিত সবসময় ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজের বিশ্বাস ও কর্ম পরিচালনা করা এবং শিরক থেকে দূরে থাকা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং ঈমানের উপর অটল থাকার তৌফিক দান করুন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!