রাজধানীর পল্টনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের "মার্চ ফর খিলাফাহ" কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে আটক ওই ব্যক্তিকে ডিবি অফিস থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসিফ মাহমুদ।
আটকের পর দ্রুত মুক্তি
ঘটনার পর বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে আসিফ লেখেন, “মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা নন। আগে রিকশা চালাতেন, কিন্তু এখন বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোতে পানি সরবরাহের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে তাকেও হামলার শিকার হতে হয় এবং পরবর্তীতে আর্মির সদস্যরা তাকে আটক করে ডিবিতে সোপর্দ করেন। তাকে ছাড়িয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনতাই শক্তি।”
সরকারের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা
নিজের পোস্টে আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন, "৫ আগস্টের পর এই জনতাই দেশের সকল সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে জনগণের সহায়তা ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। যারা সরকারকে ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাদের বিষয়ে নোট রাখা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "কিছু ব্যক্তি মুখোশ পরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের জন্য সতর্কবার্তা— জনতাকে আর ঘোল খাওয়ানো যাবে না, তারা এখন সব বোঝে।"
হিযবুত তাহরীরের মিছিল ও সংঘর্ষ
এর আগে, শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় "মার্চ ফর খিলাফাহ" কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর।
পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। তবে তার আগে প্রায় ১৫ মিনিট নির্বিঘ্নে চলতে পারে এ কর্মসূচি। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হিযবুত তাহরীর কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সংঘর্ষের সময় সংগঠনটির এক কর্মীকে মারধর করতে দেখা যায়, যাকে পরে যৌথ বাহিনী আটক করে।
আটকের পর তার মুক্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!