লগইন
ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এক দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে এবং আরেকটি সন্তান আসছে।স্বামী স্ত্রীকে চাকরি ছেড়ে গৃহিণী হওয়ার প্রস্তাব দেন।স্ত্রী তার পরিবর্তে স্বামীর কোম্পানির অর্ধেক মালিকানা দাবি করেন।স্বামী স্ত্রীর দাবি মেনে নিয়ে তাকে কোম্পানির ৪৯% মালিকানা দেন।স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে জনমত জানতে চান।বেশিরভাগ মানুষ তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।
বাংলাদেশের আইনে, বিবাহের পর অর্জিত সম্পত্তি যৌথ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।এর অর্থ হল স্বামী ও স্ত্রীর উভয়েরই অর্জিত সম্পত্তির উপর সমান অধিকার রয়েছে।
তবে, বিবাহের পূর্বে অর্জিত সম্পত্তি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।এই ক্ষেত্রে, স্ত্রী যদি বিবাহের পূর্বে চাকরি করে থাকেন এবং তা থেকে অর্থ অর্জন করে থাকেন, তাহলে সেই অর্থ তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
অর্থাৎ, স্ত্রীর চাকরি ছেড়ে গৃহিণী হওয়ার সিদ্ধান্তের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির কোন সম্পর্ক নেই।তাই, স্ত্রীর স্বামীর কোম্পানির মালিকানা দাবি করার নৈতিক ভিত্তি থাকলেও, আইনি ভিত্তি দুর্বল।
স্ত্রী যদি চাকরি ছেড়ে গৃহিণী হন, তাহলে তিনি বাড়ির কাজকর্ম ও সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করবেন।
এই কাজগুলোও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিক মূল্য রাখে।অনেক ক্ষেত্রেই, গৃহকর্ত্রীর অবদানকে অর্থনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করা যায় না।
স্ত্রী যদি চাকরি ছেড়ে গৃহিণী হন, তাহলে তার আয় হ্রাস পাবে।এর ফলে, তার অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ করে, যদি ভবিষ্যতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তাহলে স্ত্রী অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন হতে পারেন।স্ত্রীর স্বামীর কোম্পানির মালিকানা দাবি করার মাধ্যমে সে তার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান।
স্ত্রীর স্বামীর কোম্পানির মালিকানা দাবি করার সিদ্ধান্ত নৈতিক ও আইনি দিক থেকে বিতর্কিত। নৈতিক দিক থেকে, তার দাবি যুক্তিযুক্ত মনে হলেও, আইনি দিক থেকে তার দাবির ভিত্তি দুর্বল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!