মঙ্গলবার ভোররাতে বাগেরহাটের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের গাবগাছিয়া গ্রামে মজিবর রহমানের বাড়িতে একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
খবর অনুযায়ী, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অজ্ঞাত চোর মজিবর রহমানের বাড়ির বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে মেয়ে হাফসা বেগমের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। পরে হাফসার মা পারভিন বেগমকে ঘরের অপর একটি কক্ষে খাটের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার রাতে ওই ঘরে পারভিন বেগম ও তার মেয়ে হাফসা বেগম ছাড়া অন্য কেউ ছিলো না।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করে থানা পুলিশ বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে ছায়া তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি রহস্যজনক। আপাতত একটি জিডি করা হয়েছে। পারভিন বেগমের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠোর প্রস্তুতি চলছে। পিবিআইকেও অনুরোধ করা হয়েছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনার তদন্তের বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পরই ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, চোরের সাথে পারভিন বেগমের কোনও ধরণের বিরোধ ছিল। সে কারণে চোররা তাকে হত্যা করেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, পারভিন বেগমকে হত্যার পর চোরেরাই স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত করছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!