ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণে মো. মনির বয়াতি (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মাঝি (৩৫) নামে আরো একজন আহত হয়েছেন। নিহত মনির বয়াতি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব আলীর ছেলে ও আহত ফিরোজ একই এলাকার অজিউল্যাহ মাঝির ছেলে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার আজহার মাঝির বাড়িতে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় আজহার মাঝির বসত ঘরের টিনের চালা ও বেড়া উড়ে গিয়ে বসতঘরটি তছনছ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ফিরোজ মাঝিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বসতঘরের মালিক আজহার মাঝি জানান, রাতের খাবার শেষে পরিবারের লোকজনসহ রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১ টার দিকে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে ওঠে দেখেন পুরো ঘর ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা মনির ও ফিরোজকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখেন।
তখন তারা জানায়, বাহির থেকে কে বা কাহারা ঘরের পিছনের টিনের বেরা ফাকা করে ঘরের লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছে। পরে আজহার মাঝির ছেলে জাহাঙ্গীর আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাদেরকে বরিশালে পাঠানো হয়। তবে বরিশাল নেয়ার পথে ভেদুরিয়া ঘাটে মনির বয়াতি মারা যান। আহত ফিরোজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব-উল আলম জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেয়ার পক্রিয়া চলছে। রাতের ঘটনা হওয়ায় বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!