বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত নাঈমের পাশে মুক্তির তোরণ ইসলামী সংগঠন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার রামপুরা, বাড্ডা ও বনশ্রী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবস্থান নেয়।এ সময় বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ গুলি করলে আহত হয় নাঈম। গুলি তার পায়ে বিদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়।
পরে সে তার বন্ধু মোঃ জুবায়ের হোসেনের সহযোগিতায় কাছাতাছি একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে শ্যামলি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা বাবদ এই পর্যন্ত নাইমের পরিবার ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। পরিবারের বরাতে জানা যায়, এখনো মেজর অপারেশন বাকি রয়েছে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে দুই মাস তাকে ডাক্তার বেড রেস্ট দিয়েছেন। পরবর্তী অপারেশনে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। ফরিদ্গঞ্জ উপজেলার মুক্তির তোরণ ইসলামি সংগঠন নাঈমের পাশে দাঁড়িয়েছে। উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে নাঈমকে দশ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তির তোরণ ইসলামি সংগঠনের প্রতিনিধি মোঃ রাকিব হোসেন এবং অঙ্গীকার বন্ধু সংগঠন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশন এর সদস্য মুহাম্মাদ আল আমিন মিয়াজী। নাঈম চাঁদপুর জেলার ফরিদ্গঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির ছেলে। বাবা আলমগির হোসেন মা ফেরদৌস বেগমের মেজো ছেলে নাঈম। সে এবার নারায়নগঞ্জ সরকারি তুলারাম কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পরাশোনা করছেন। বর্তমানে মানিকনগর বসবাস করেন। নাঈম জানান জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছি। যেন কোথাও বৈষম্য না হয়। দেশ সুন্দর ভাবে গঠন হোক। তার পরিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বমনয়ক এবং বর্তমান সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানান, নাঈম যেন সুচিকিৎসা পায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!