ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে প্রশাসনিক কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল আলম এবং খাদ্য উপ পরিদর্শক মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কৌশলী বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ডিলার নিয়োগ চুড়ান্ত করার দিনে ডিলার নিয়োগের জন্য প্রায় হাফডজন আবেদনকারী ইউএনও বরাবরে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে এ তথ্য উঠে আসে। অপরদিকে ডিলার নিয়োগে আবেদন না করে ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দলীয় লোকজনকে ডিলার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করার করার সময় পরিষদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন ফারুক ও সেক্রেটারী নাজমুল হোসেন।
সেখানে উপস্থিত বৈধ ডিলার (প্রাথমিক বাছাইয়ে সিলেক্টেড) ১১ নং মক্রমপুর ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমানকে ফ্যাসিবাদের দোসরের তকমা দিয়ে লাঞ্চিত করে, যুবদলের ওই নেতারা কক্ষ থেকে বের করে দেন মর্মে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে বানিয়াচংয়ে ইসলামী দল গুলোর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজের পাশাপাশি ওই ২ নেতাকে বহিস্কারের দাবীতে সোচ্চার ইসলামীদল গুলো।
লিখিত অভিযোগকারী আব্দুল আজিজের দরখাস্ত ঘেটে জানা যায়, যুবদল সভাপতি সালাউদ্দিন ফারুক বলয়ের বিএনপি নেতা মহিদ মিয়ার ইএনও কর্তৃক নির্ধারিত বড়উউড়ি বাজারে দোকান ঘর নেই, নীতিমালা বহির্ভুতভাবে মাদানি গঞ্জের একটি কীটনাশকের দোকানের নামে খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল ও পরিদর্শক মহিউদ্দিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মহিদের আবেদন বৈধ ঘোষণা করেছেন।
আরেক অভিযোগকারী সামছুদ্দিন রানা রিপন তার দরখাস্তে লিখেন কদুপুর বাজারে একটি অযোগ্য দোকান ঘর দেখিয়ে আবেদন করেন আওয়ামীলীগ নেতা আলামিন, তার দোকান ঘরটির ভারানামা ও ভূয়া , তারপরও টাকার বিনিময়ে খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল ও পরিদর্শক মহিউদ্দিন আলামিনের আবেদন বৈধ করেছেন এবং অভিযোগকারীর (সামছুদ্দিন) আবেদনে তারিখ না দেওয়ার অজুহাতে বাতিল করেছে কমিটি।
আবেদনকারী বাবলু বলেন ৫/৬ নং বাজারে তিনি ডিলার পেতে আবেদন করেন, কিন্তু তার দোকানে লাকড়ি আছে মর্মে ভূয়া তথ্য দিয়ে তার আবেদন বাতিল করিয়েছেন খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল ও পরিদর্শক মহিউদ্দিন। অপরদিকে যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তার দোকানটি একটি বাড়িতে বাজারে নয়। সজলু বলেন তার আবেদনে তারিখ নেই মর্মে বাতিল করা হয়েছে, যেটি করা হয়েছে তা হলো নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার ফন্দি।
১১ নং মক্রমপুর ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি একজন বৈধ আবেদনকারী। কিন্তু তাকে যুবদল সভাপতি সালাউদ্দিন ফারুকসহ সহযোগীরা তাকে লাঞ্চিত করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। যুবদল যুগ্ম আহব্বায়ক ওয়াহিদুল মুরাদ তার ফেসবুকে লেখেন (যুবদল সভাপতি সেক্রেটারীকে উদ্দেশ্য করে) আপনাদের কে অধিকার দিয়েছে একজন নাগরিককে ইউএনওর কক্ষ থেকে বের করে দেবেন, আপানাদেরকি ফ্যাসিবাদের সাথে ছবি নেই ?। এছাড়া মঙ্গলবার দিনভর পুরো বানিয়াচংয়ে একজন আলেমকে অপদস্ত করার দায়ে ২ যুবদল নেতাকে বহিস্কারের দাবী ওঠে। ও এম এসের ডিলার নিয়োগে ও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে ঐ দু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল করেছেন। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে,আবেদন যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে সরজমিন তদন্ত করলেন কেন?তদন্তের পর বলা হয় আবেদনে ভূল ছিল। তদন্ত কালে আবেদন কারীগণ ব্যবসায়ী কি না, তা যাচাই বাছাই করা হয়নি।
এতেই লুকিয়ে আছে রহস্য। জনসাধারণের ভাষ্য "তুলকালাম কান্ড"। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত করে জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন বলে উপজেলা নাগরিক কমিটি দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, তিনি দুর্নীতির সাথে জড়িত না, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন ইউএনও। সালাউদ্দিন ফারুক বলেন তিনি নয় জুলাই বিপ্লবের পক্ষের শক্তি উপস্থিত সবাই আজিজুরকে বের করে দেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!