নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মামলার নং-২৪/১৫৬, তারিখ-১৮/০৬/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৯(১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) এর ধর্ষণ মামলার ভিকটিম ৪র্থ শেণীর ছাত্রী মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন ০২/০৯/২০২৩ তারিখ অনুঃ ১১.৩০ ঘটিকায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ফুটফুটে কণ্যা শিশুর জন্ম দেয়।
সদ্য ভুমিষ্ট কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র্যাব নারী কল্যান সমিতি, রাজশাহী অঞ্চল এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ইং-১০/০৯/২০২৩ তারিখ র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার, পিএসসি, জি মহোদয় শিশুটি'সহ ভিকটিমকে দেখতে তার বাড়ী গুরুদাসপুরে যান। ওই সময় র্যাব নারী কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে নগদ ৫০,০০০/- ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা'সহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-দ্রব্য প্রদান করেন।
র্যাব-৫ এর সিপিসি-২, প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন যে, ১৮/১১/২০২২ তারিখ শুক্রবার দুপুর অনুমান ১.০০ ঘটিকায় মামলার ভিকটিমের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) ভিকটিমের মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে আসামী ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ভিকটিম প্রাণের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। আসামীর বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষার শিকারে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ভিকটিমের শারীরিক পরিবর্তন দেখে ভিকটিমের দাদী ভিকটিমকে জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) কতৃক জোরপূর্বক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাটি জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের দাদী স্থানীয় ক্লিনিকে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা করালে জানতে পারেন ভিকটিম ০৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন ২০২৩ তারিখ ভিকটিমের দাদী বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার পর হতে আসামী গা ঢাঁকা দেয়। সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে র্যাব-৫ এর সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের চৌকস দল বিষয়টি নজরে আনে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বিকৃত যৌন প্রত্যাশী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) কে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানাধীন হেলেঞ্চা এলাকা থেকে গ্রেফতার পূবর্ক আইনানুগব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরিদর্শণ কালের মতবিনিময়ে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মহোদয় সকল মহলের মানুষকে আহবান করেন যে, সদ্য ভুমিষ্ট কণ্যা শিশু ও ভিকটিমকে সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠালাভ এবং ভালোভাবে বেচে থাকার জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মামলার সকল সাক্ষীদের বিজ্ঞ আদালতে যথাযথভাবে সাক্ষ্য প্রদানের তকতার আলোকে সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত আহবান করেন। তিনি আরো অহবান করেন যে, সমাজের প্রত্যেকটি মানুষকে ঙ্নকিরতে হবে এবং তিনি নিশ্চিত করেন যে, র্যাব বাংলাদেশের অহংকার ও জনগনের বন্ধু।
উপরে উল্লেখিত বিষয়টি আজ রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং বিকেল ০৪-টা ৩৭ ঘটিকায় র্যাব-৫ এর সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কতৃক ই-মেইল যোগে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গণমাধ্যম কর্মীকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!