এইচ এম আরিফ হোসেন/
হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের পরেই বলাখাল ও কৈয়ারপুলে সড়ক ও জনপথের (সওজ) সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদের জমিতে থাকা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিত স্থাপনা অপসারণ করার ফলে সড়কের দুইপাশ পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন ফারহান ফারুক জ্বীম, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ইমদাদুল হক প্রমুখ।
দুটি বুলডোজার নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান, সওজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ যৌথবাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁধে বলাখাল ও কৈয়ারপুল বাজারের একাংশের অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়তে গড়তে বলাখাল মধ্য বাজারে ঘিঞ্জি পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে বাজার এলাকাসহ রামপুর রাস্তার মুখে সম্প্রতি যানজট ছিলো চোখে লাগার মতো। সড়কের কোলঘেঁষে উচ্ছেদের কারণে বাজারে এখন যানজট কমে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনের দিনভর দেখা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অংশগ্রহণে দুটি বুলডোজার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। যা বেলা দুইটা পর্যন্ত টানা চলতে থাকে। পুরো বলাখাল বাজার, কৈয়ারপুলসহ সাতবাড়িয়া রাস্তার মাথার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলো ফ্লোর সব উপড়ে ফেলা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান জানান, জেলা প্রসাশক স্যারের নির্দেশে সরকারি সকল সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকিলা বাজারের পরে আজকে আমরা বলাখাল কৈয়ারপুল বাজারে সওজের জমি দখলমুক্ত করেছি। পর্যায়ক্রমে হাজীগঞ্জ বাজারে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!