নবীগঞ্জ শহরে কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় ভয়াবহ সংঘর্ষে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী। এর পূর্বে থানার এসআই বিজয় দেবনাথ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এদিকে ১৪ জনকে গ্রেফতারের খবরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দাঙ্গাবাজরা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো ইনাতাবাদ গ্রামের মোঃ আশফাক আলীর পুত্র নাসির মিয়া (২৫), একই গ্রামের ছাদিক মিয়ার পুত্র আবু জাহেদ (৩৪), মৃত সমাই উল্লাহর পুত্র ফজল মিয়া (৩৮), মৃত খাফল উল্লার পুত্র ছুনু মিয়া (৩৪), সাজ্জাদ আলীর পুত্র জুবেদ মিয়া (২৪), মৃত ইস্কন্দর মিয়ার পুত্র বিল্লাল মিয়া (২৩), রুঘু মিয়ার পুত্র রাজু মিয়া (২৪), অনু মিয়ার পুত্র দিলদার (২৬), মালিক মিয়ার পুত্র খালেদ মিয়া (২৮), মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র সোলেমান (৩৫), মৃত ফারাজ মিয়ার পুত্র মইন উদ্দিন (২১), মোঃ ফাহাদের পুত্র মোঃ মাফিন উদ্দিন (২০), আনমুনু গ্রামের হিযবু মিয়ার পুত্র তৌহিদ মিয়া (৩৫), মৃত এলাইছ মিয়ার পুত্র অন্তর মিয়া (২৬)।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান ও পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আনমুনু গ্রামের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় ৩টি ব্যাংক ও মার্কেটসহ অর্ধশতাধিক দোকানপাঠ ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সহ ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং সাংবাদিকসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৫ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!