মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বিগত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী হতে কামান বিল লুটের মাধ্যমে শুরু করা হয় বিল লুট ।যা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই একের পর এক লুটপাট করতে দেখা যাচ্ছে।একেক দিন একেক জায়গা নির্ধারন করে সেই বিলেই হানা দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ ।যার সাথে জরিয়ে কাছে কিছু উৎসুক জনতা।

স্হানীয় ইজারাদারদের তথ্যমতে দিরাই -শাল্লার ১১ টি বিলের প্রায় ১৫ কোটি টাকার মাছ লুপাট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে স্হানীয় প্রাশাসক, প্রশাসন ,সেনাবাহিনীর যৌথ পরিচালনায় আটকানো যাচ্ছেনা লুপাটকারীদের ।প্রশাসন বাধা দিতে গেলেই তাদের উপরেও ছড়াও হতে দেখা যাচ্ছে প্রায় সময়ই। এর পিছনে রাজনৈতীক ইন্দনের পাশাপাশি কিছু কুচক্র মহলও জরিত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।এই লুটতরাজের সাথে জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেফতারে এবং কুচক্রী মহলদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।

এদিকে ৭ ই মার্চ শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন)পুলিশ সুপার ( সাময়িক দায়িত্ব) তাপস রঞ্জন ঘোষ শ্যামারচর বাজারের স্হানীয় জনসাধারনদের সাথে মতবিনিময় করেন।

দিরাইয়ের বিভিন্ন জলমহালে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বনজীব সরকারের নেতৃত্বে,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি স্বাধীন দাস, দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ,সেনাবাহিনীর টহলে লুটপাট ও স্হাপনা ধ্বংশ এড়াতে প্রশাসনিক তৎপরতায় ৮ই মার্চ শনিবার সকালে দিরাই উপজেলাধীন রাজানগর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর এবং ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রামের এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সোমা গ্রুপ ফিসারিজ ( নাইন্দা বিল)এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় লুটকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে।

দিরাই থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট সনজীব সরকার জানান প্রশাসনের পাশাপাশি সকলের সহযোগীতা ও সচেতনতাই এই সংকটময় সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভবপর হবে ।