বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসার সময়ও তাদের অবহেলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২ নম্বর দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাটে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে কথা (২১), আরাবী (১৮) ও সালমান (২২) নামের তিন শিক্ষার্থী দিঘির পানিতে ডুবে যান। পরে তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ আরাবীর ক্যানুলা খুলতে নার্স না আসায় পাশের এক রোগীর স্বজনকে ক্যানুলাটি খুলতে হয়। কিন্তু ক্যানুলার মুখ বন্ধ না করায় তাঁর হাত থেকে অনেক রক্ত ঝরে। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন আরাবী।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের প্রতি গাফিলতি করেছেন। হাসপাতালের অনিয়ম, রোগীদের হয়রানি এবং দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ স্বীকার করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
এই ঘটনাটি স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে এবং সরকারি হাসপাতালের সেবা মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!