এইচ এম আরিফ হোসেন//
চাঁদপুর হাজীগঞ্জে প্রবাস ফেরত স্বামী, স্ত্রী'র পরকীয়া প্রেমিকের হাতে জীবন দিতে হল। হত্যার রহস্য উদঘাটন করলেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ। চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এর দিকনিদের্শনায় , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাজীগঞ্জ সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ, হাজীগঞ্জ থানা এর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ১নং আসামী সৈয়দ আশেক এলাহী (২৮) কে আটক করা হয়।
গত ০৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকায় হাজীগঞ্জের ০৫নং পৌর ওয়ার্ডের মকিমাবাদ আমেনা ম্যানশনে চাঞ্চল্যকর সৌদি প্রবাসী এমরান বাশার খুনের ঘটনায় ১নং আসামী সৈয়দ আশেক এলাহী (২৮), থানা- শাহরাস্তি এবং ২নং আসামী ফারজানা আক্তার (২৪), স্বামী- মৃত- এমরান বাশার, থানা-হাজীগঞ্জ, উভয় জেলা-চাঁদপুর দ্বয়কে গ্রেফতার করে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার এর সঙ্গে সৈয়দ আশেকে এলাহী বাবুর দীর্ঘদিন প্রেম ছিল। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক ও থানায় অভিযোগ হওয়ার পর স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও তার পরিবার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলেও জানান ভিকটিমের স্ত্রী। একমাত্র ছেলের কথা ভেবে স্বামী মৃত এমরান বাশার তাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু প্রবাসী স্বামী ছুটি শেষে সৌদিতে যাওয়ার পর স্ত্রী আবারো পরকীয়া প্রেম শুরু করেন। এরপর স্বামী ছুটিতে দেশে এলে স্ত্রী ও তার প্রেমিক দুজনে মিলে পরিকল্পনা করেন কিভাবে স্বামীকে সরানো যায়। গত অক্টোবর রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম এমরান বাশার ডাল পুরি কিনে বাসায় ফিরে আসার সময় আসামী আশেক এলাহী’কে একটি ট্র্যাভেল ব্যাগসহ বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাক-বিতন্ডায় করে। এক পর্যায়ে তারা উভয়ে ঘটনাস্থল বাসার দরজার সামনে এসে নক করলে আসামী আশেক এলাহীর পরকীয়া প্রেমিকা ফারজানা আক্তার দরজা খুলে দিলে আসামী আশেক এলাহী ইশারায় ভিকটিম এমরান বাশার এর গলা কেঁটে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলে আসামী ফারজানা আক্তার তাতে সায় দেয়।
আসামী ফারজানা অন্য কক্ষের দরজার আড়ালে চলে গেলে আসামী আশেক এলাহী ভিকটিম এমরান বাশারের পিছন থেকে ছুরি দিয়ে গলায় কয়েকটি পোঁচ দিলে সে ফ্লোরে লুটে পড়লে পুনরায় ছুরি দিয়ে বুকের বাম পাশে উপর্যুপরি আরো কয়েকটি আঘাত করে। পরর্বতীতে আসামী ফারজানা ও আশেক এলাহী ঘটনার ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। আসামী আশেক এলাহী কৌশলে ট্র্যাভেল ব্যাগ ফেলে ছুরি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় জড়িত ১নং আসামী আশেক এলাহীকে যশোর জেলার অভয় নগর থানার নোয়াপাড়া এলাকা হতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এসআই (নিরস্ত্র)আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং প্রেমিকা ফারজানা আক্তার’কে ঘটনার পর পরই হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
ভিকটিমের বোন রিনা আক্তার (৪৪) এর দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৯,তারিখ-০৯/১০/২০২৩খ্রিঃ,ধারা-৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!