logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - জাতীয়- চাঁদপুরে স্ত্রী'কে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরে স্ত্রী'কে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন

চাঁদপুরে স্ত্রী'কে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রধান প্রতিবেদক।। 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মাসুদ আলম ঢালীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ আলম ঢালী উপজেলার মিরপুর গ্রামের মৃত বশির উল্যা ঢালীর ছেলে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খান ও মোসাম্মৎ আয়েশা বেগমের মেয়ে।


মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাসুদ আলম ঢালী ও সেলিনা বেগমের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুজন ছেলে সন্তানের রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক দাবি নিয়ে পারিবারিক কলোহ দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেলে আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ সেলিনার গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে এবং ব্যাপক মারধর করে। মার সহ্য করতে না পেরে সেলিনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তার স্বামী মাসুদ আবার সেখান থেকে এনে তাকে বেধম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা তাকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৮ এপ্রিল বিকেলে সেলিনা মারা যান। এমন সংবাদে তার শ্বশুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সেলিনার মা আয়েশা বেগম এসে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান।

এই ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ২০০৮ সালের ৫ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় মাসুদ আলম ঢালীসহ ৫জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলাটি চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৭ জুলাই গৃহীত হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময় ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুভাষ কান্তি দাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।


রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) সায়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১৪ বছরের অধিক সময়ে চলমান অবস্থায় আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহন ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন। তবে আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক। রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না।

রাষ্ট্র পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন খোরশেদ আলম শাওন এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মনিরা বেগম চৌধুরী।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

চাঁদপুরে স্ত্রী'কে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন

শেখ মহসীন, সম্পাদক

image

প্রধান প্রতিবেদক।। 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মাসুদ আলম ঢালীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল

হান্নান এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ আলম ঢালী উপজেলার মিরপুর গ্রামের মৃত বশির উল্যা ঢালীর ছেলে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খান ও মোসাম্মৎ আয়েশা বেগমের মেয়ে।


মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাসুদ আলম ঢালী ও সেলিনা বেগমের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুজন ছেলে সন্তানের রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক দাবি নিয়ে পারিবারিক কলোহ দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেলে আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ সেলিনার গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে এবং ব্যাপক মারধর