ইমরান হক
হঠাৎ করে ঘনকুয়াশার কারণে চাঁদপুরের নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এখন প্রতিদিনই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী। ফলে নৌ যান চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে। বিশেষ করে যাএীবাহি লঞ্চ গুলি ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমানা হারিয়ে ভেঁসে ওঠা চরে আটকা পড়ার আশংকায় থাকে বলে সাধারণ মানুষ। তাছাড়া রাঁতের চলাচল কারি নৌযান গুলি নিজেদের গতি কমিয়ে চলাচল করতে হয় বলে অতিরিক্ত সময় পারি দিতে হচ্ছে নিজেদের গন্তব্য, এমনটাই জানান কিছু চালকরা।
এদিকে একই পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে চাঁদপুর – শরিয়তপুর ফেরি গুলি। দিনের বেলায় টুক টুক করে যাতায়ত করলেও, বিকেল হলে ঘনকুয়াশার কবলে পরে। ১ ঘন্টার ফেরি পারাপার সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা , এতে করে ফেরিতে থাকা ডিস্ট্রিক গাড়ি গুলি গন্তব্য পৌছাতে বিলম্ব হয়, এমনও দেখা যায় মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফেরিসহ নৌযান গুলি।
অপরদিকে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে । দিনের সময় গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচলের সময় তেমন ঝুকি না হলেও, রাঁতের সময় দুর্ঘটনা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। তার সাথে বেপরোয়া গতিবেগ যাএী সাধারণ এর প্রাণ নাশের ঝুকি রয়েছে বলে অনেকেই বলেন।
ঘনকুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে প্রতিদিনই ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে ঢাকা-চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চল রুটের লঞ্চগুলো ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও রোদ ওঠার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেই কিছু কিছু নৌযান চলাচল শুরু করে।
এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটের ফেরি চলাচল ৩ ঘন্টা বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ রুটে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। বুধবার ভোর রাত থেকে নদী ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা দেয়। কুয়াশার মধ্যে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর ৫টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান তিনি।
চাঁদপুর নৌ বন্দর কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন জানান, কুয়াশায় নৌযানসমূহকে সাবধানে চলাচল করতে আগে থেকেই চালকদের সর্তকীকরণ বিষয়টি অবগত করে নির্দেশনা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!