কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দেশজুড়ে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আবাসিক হল ত্যাগ করে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় সিন্ডিকেট সভায়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ৬ জন নিহত হন। রাজধানীতে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত এবং দুই জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করেছে। পাশাপাশি দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!