আলাউদ্দীন হক : প্রতিদিনের ন্যায় ৪আগস্ট নিজ কর্মস্থল আদমজী ই.পি.জেড.যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীর টিকাটুলীর অভয়দাশ লেনের বাসা থেকে রওয়ানা করেন রোমা ট্রেডার্সের স্বল্পবেতন ভুক্ত কর্মচারী এস.এম.হাসান উল্লা জনি।
মহল্লার ওলিগলি পার হয়ে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে এলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাঝে পড়েন জনি।কিছু বুঝে উঠার আগেই গুলি এসে বিঁধে তার পিঠের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে,বুকের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়া জনিকে আন্দোলনকারীদের দুজন ধরাধরি করে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে,সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় রক্ত ক্ষরণ না কমায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
রাতে সার্জারি শেষে সাতদিন আই.সি.ইউ.তে রেখে এগারো তারিখ তাকে বেডে পাঠানো হয়।এ সময় আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ফুঁসফুঁসে কালোদাগ পাওয়ায়,তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সপ্তাখানেক চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে বাসায় ফিরেছেন জনি।এদিকে দীর্ঘদিন পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম মানুষটি হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকায় আর্থিক অনটনের মাঝে পড়ে যায় পরিবারটি।ভরণপোষণের অনিশ্চয়তার মাঝে দরিদ্র স্বামীর চিকিৎসা ব্যয় মেটানো যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে তাদের জন্যে।
জনির স্ত্রী জানান,ডাক্তার বলেছেন জনিকে আরও প্রায় পাঁচ মাসের মতো চিকিৎসা নিতে হবে।এ মুহূর্তে ছোট দুটি বাচ্চা নিয়ে বাসা ভাড়া,সংসার খরচ স্বামীর চিকিৎসা সব মিলিয়ে আমরা এখন দুর্বিসহ যন্ত্রণার মাঝে দিনাতিপাত করছি।ধারদেনা করে এতদিন চিকিৎসা চালিয়েছি,জানিনা এভাবে আর কত দিন চলতে পারবো।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর সহায়তায় অতিদ্রুত সরকারি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নাগরিক সমাজ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!