সারাদেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের হামলা ও উত্তেজনা
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে একদল শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক হামলার শিকার হন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য। তারা জানান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে প্রতিহত করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৫-১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার জেরে শনিবার দিনভর গাজীপুরে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিক্ষোভের মুখে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা
৫ ফেব্রুয়ারি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের একটি ফেসবুক পোস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
বিশেষ অভিযান নিয়ে ঘোষণা আসবে আজ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!