নিজস্ব প্রতিনিধি।। সবার দায়িত্ব পালন এক রকম নয়।
এর মধ্যে থাকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মকর্তা বা কর্মচারী।
দক্ষতাও সবার সমান নয়। কেউ কেউ কর্মে তার দক্ষতার পরিচয় দেয়। আবার কারো কারো দক্ষতা থাকলেও দুর্ভাগ্যবশত কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসতে পারে না। এর ফলে যথাযথ মর্যাদায় আসীন হতেও ব্যর্থ হন।

প্রিয় পাঠক বলছিলাম চাঁদপুর শহরের সিনিয়র ট্রাফিক সার্জেন সোলায়মান এর কথা। পরিবহন সেক্টরের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে চাঁদপুরের সকল পর্যায়ের মোটামুটি পরিচিত মুখ তিনি।
চাঁদপুর জজকোর্টের সামনের সড়কে সকাল দশটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত একটা অসহনীয় যানজট থাকে। ভোগান্তির শিকার হতে হয় ডিসি কোর্টে ও জজ কোর্টে আশা লোকজনের। স্থানীয় লোকজনও সড়ক পারা-পারে হিমশিম খেতে হয়।
কোন সময় ট্রাফিক বিভাগের তিন থেকে চার জনও ডিউটি করেন। তারা শত চেষ্টা করেও যানজটের কুলকিনারা করতে পারেন না এমনটি আমরা মাঝে মাঝেই দেখি ।
ট্রাফিক সার্জেন্ট সুলাইমান ট্রাফিক বিভাগের সম্মান সমুন্নত রাখতে এক সেকেন্ডের জন্য কারো সাথে আলাপ করতে খুব একটা দেখা যায়নি। পেশাদারিত্বের কারণে অনেক প্রিয়জনদের সাথেও ডিউটির সময় ইয়েস নট ভেরি গুড ছাড়া কিছুই বলতে পারেন না তিনি। দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালনের ফলে তার ডিউটির সময় এমন ব্যস্তময় সড়কটা একাই তিনি যানজট মুক্ত রাখে সক্ষম হন। এরূপ দক্ষ আরও অনেকেই আছেন যাদের নাম নাই বা লিখলাম প্রিয় পাঠক আপনাদের নিকট প্রত্যাশা রাখি কমেন্টে জানাবেন।
একই সাথে বলা দরকার জেলা জজ বাহাদুর এর কার্যালয়,জেলা প্রশাসক বাহাদুরের কার্যালয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাহাদুরের কার্যালয়, ট্রেজারি শাখা, বিআরটিএর কার্যালয় সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে এখানে। যার ফলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ প্রশস্ত করেছেন। এরপরেও অটোরিকশা ও সিএনজি প্রশস্ত অংশে অযাচিত পার্কিংয়ের ফলে কঠিন ভাবে জনদুর্ভোগ হচ্ছে। একই সাথে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের জন চলাচলের ফুটপাতটি থাকে হকারদের দখলে। এটাও ভোগান্তির একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলে জনভোগান্তি লাগব হবে বলে মনে করেন সুধী মহল।
সবশেষে বলবো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দক্ষ হলে সেবাটা এমনই হয় যেমনটি ছবিতে দেখালাম।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!