সিরিয়ার ভঙ্গুর অর্থনীতি চরম সংকটে পড়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করাও কঠিন হয়ে পড়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। অর্থের এই সঙ্কট কিছুটা লাঘব করতে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ সিরিয়ান পাউন্ড এসেছে। সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত করেছে, রাশিয়া ফেডারেশন থেকে ৩ হাজার কোটি সিরিয়ান পাউন্ড তারা পেয়েছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রকৃত পরিমাণ ছিল বিভ্রান্তিকর। অবশেষে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়েছে, এই অর্থ আসার পেছনে আসলে আগের চুক্তির ধারাবাহিকতা রয়েছে।
বাশার আল আসাদের অর্থনৈতিক নীতির ধারাবাহিকতা
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন সিরিয়ান পাউন্ড রাশিয়ায় ছাপিয়ে দেশে আনতেন। এবারও তার সেই নীতির ধারাবাহিকতায় নতুন মুদ্রিত অর্থ প্লেনে করে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। তবে এই অর্থ আদৌ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থ সংকট ও মূল্যস্ফীতির ধাক্কা
সিরিয়ার বাজারে গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ান পাউন্ডের সংকট চরমে পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান ভয়াবহভাবে কমেছে, বর্তমানে ১ ডলারের বিনিময়ে ৯ থেকে ১০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ড লেনদেন হচ্ছে। ব্যাংকের এটিএমগুলোতেও পর্যাপ্ত টাকা নেই, ফলে টানা দ্বিতীয় মাস সরকারি কর্মকর্তারা বেতন তুলতে পারছেন না।
সংকটের সমাধান কত দূরে?
অর্থনীতিবিদদের মতে, শুধুমাত্র মুদ্রা ছাপিয়ে সংকট কাটবে না। বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। এছাড়া অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন, তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদিও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে, তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!