বহুজাতিক ভিসা প্রসেসিং সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল ইউরোপের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের পাসপোর্ট আটকে রেখে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অযৌক্তিকভাবে উচ্চ খরচ আদায় করে, ভিএফএস ইতালিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
লক্ষাধিক পাসপোর্ট আটকে: ভিএফএস এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে। এর ফলে তারা তাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে এবং ইতালিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাতে পারে।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ খরচ: ভিএফএস অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য জনপ্রতি ১৯,৭২০ টাকা থেকে ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করে। এছাড়াও, দালালরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য আরও অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। এই অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ খরচ অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া অসম্ভব করে তোলে।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য জটিল প্রক্রিয়া: ভিএফএস অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য একটি জটিল এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া প্রায় অসম্ভব, এবং যারা সফল হয় তারা প্রায়শই দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ের সম্মুখীন হয়।
তথ্যের অভাব: ভিএফএস আবেদনকারীদের তাদের আবেদন সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য প্রদান করে না। এটি অনেক অনিশ্চয়তা এবং হতাশার সৃষ্টি করে।
দুর্নীতি: ভিএফএস-এর কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য দালালদের সাথে যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয় এমন অনেক আবেদনকারী রয়েছে।
এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারকে ভিএফএস-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতালীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও, ভিএফএস-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই সমস্যাগুলি ইতালিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একটি বড় হুমকি। দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, বাংলাদেশ এই গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে তার অবস্থান হারাতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!