রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বরখাস্ত করে এবং তার ঘনিষ্ঠ পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার পর রহস্য তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে:
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ জড়িত সামরিক ঠিকাদারি চুক্তির তথ্য।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সমালোচনাও হচ্ছে।ধারণা করা হচ্ছে, পুতিন দুর্নীতি দমন করে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না।সামরিক সরঞ্জামের ঘাটতি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, শোইগু এবং তার সহযোগীদের অকার্যকরতার কারণেই যুদ্ধে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
পুতিন সম্ভবত আরও কার্যকর নেতৃত্বের অধীনে মন্ত্রণালয়কে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইছেন।
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ঘটনাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার সংগ্রামের ইঙ্গিত।
পুতিন সম্ভবত সেনাবাহিনীর মধ্যে তার নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করতে চাইছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূর করতে চাইছেন।
দীর্ঘদিনের যুদ্ধের চাপ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় রাশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
পুতিন সম্ভবত অভ্যন্তরীণ বিরোধী শক্তিকে দমন করতে এবং তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এই ঘটনাগুলির সঠিক কারণ এখনও অস্পষ্ট। সময়ের সাথে সাথে আরও তথ্য বেরিয়ে আসলে রহস্য উন্মোচিত হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!