নেপাল-চীন সীমান্তবর্তী তিব্বতে আজ মঙ্গলবার সকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬২ জন। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাতে এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তিব্বতের বহু ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের লেবুচি থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১, এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ:
সিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী, তিব্বতের চাংসুও টাউনশিপ, কুলুও টাউনশিপ এবং ডিংরি কাউন্টির কুওগুও টাউনশিপে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কম্পন নেপাল, ভারত, ভুটান এবং বাংলাদেশের কিছু অংশেও অনুভূত হয়। তবে এসব দেশে কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালের মর্মান্তিক স্মৃতি:
বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নেপাল। তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল, নেপালের পোখারা ও কাঠমান্ডুর মধ্যবর্তী অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন।
বিশেষ সতর্কবার্তা:
বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভূমিকম্পের পরবর্তী ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!